ঢাকায় জিলিভো’র নতুন গেমিং টুর্নামেন্ট হাজার তরুণকে আকৃষ্ট করেছে

ঢাকা, বাংলাদেশ – ১৮ মার্চ, ২০২৫ – গত সপ্তাহান্তে জিলিভো ব্র্যান্ড ঢাকার গুলশান এলাকার একটিJilievo প্রধান কনভেনশন সেন্টারে “ঢাকা গেমিং মাস্টারস” নামে একটি বিশাল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে, যা রাজধানী থেকে এক হাজারেরও বেশি তরুণ গেমারদের আকৃষ্ট করেছে। এই ইভেন্টটি জিলিভো’র বাংলাদেশ বাজারে প্রবেশের পর থেকে তাদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

টুর্নামেন্টটি বিশেষভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঢাকার ঐতিহাসিক Jilievoস্থাপনা এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত ক্রিকেট খেলোয়াড়দের উপর ভিত্তি করে বিশেষ গেমিং মোড তৈরি করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা এই স্থানীয় থিম নিয়ে উৎসাহিত হয়েছিলেন, যা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।

“আমরা বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলাম এবং এমন একটি অভিজ্ঞতা তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা সত্যিই Jilievoস্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে,” জিলিভো’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার তানভীর রহমান বলেন। “বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে গেমিংয়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা আমাদের অবাক করেছে, এবং আমরা এই শক্তিশালী সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

টুর্নামেন্টের বিজয়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছর বয়সী কম্পিউটার সায়েন্স ছাত্র সাকিব হাসান ১০ লাখ টাকা পুরস্কার জিতেছেন। “এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য,” সাকিব বলেন। “জিলিভো বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায়কে এত সম্মান দিয়ে সত্যিই আমাদের দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে।”

ইভেন্টটি কেবল প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। জিলিভো ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে ডিজিটাল শিক্ষা উন্নয়নে সহায়তার জন্য ৫০ লাখ টাকার একটি অনুদান প্রদান করে, যা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করে। অনুদানের অংশ হিসেবে মিরপুর এলাকার পাঁচটি স্কুলে নতুন কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন এবং জিলিভো’র উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। “ডিজিটাল বাংলাদেশ Jilievoগড়ার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি বলেন। “আমরা আশা করি আরও বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগ করবে।”

জিলিভো ঘোষণা করেছে যে তারা আগামী বছরে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহীতে অনুরূপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, যা বাংলাদেশের গেমিং সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।